আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডেমরায় প্রতিবন্ধীকে হত্যায় গ্রেফতার ৩

ডেমরা প্রতিনিধি

ডেমরায় চোর সন্দেহে হোসাইন মোহাম্মদ রাজ (২৬) নামে এক প্রতিবন্ধীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠালে ওই দিন বিকালে খুনিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দেন।  গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ডেমরার উত্তর সানারপাড়ে জনৈক উকিলের বাড়ীতে বসবাসরত ভ্রাহ্মনবাড়ীয়ার সদর থানার মহিউদ্দিন নগরের মনির হোসেনের স্ত্রী হোসনা বেগম (৪২) ও তার ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন জাহিদ (২০) এবং একই বাড়ীর ভাড়াটিয়া ভোলার লালমোহন থানার বালুচর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. ইলিয়াস (৩৫)। এ বিষয়ে বুধবার রাতে মৃতের বড় ভাই আল আমিন গ্রেফতারকৃতরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ডেমরা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. কুদ্দুস জানায়, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১ টার দিকে চোর সন্দেহে রাজকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে ডেমরা থানার ওসি মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার রাতে ডেমরার পৃথক ৩ জায়গা থেকে ওই ৩ খুনিকে গ্রেফতার করা হয়।

মৃতের বড় ভাইসহ প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানায়, নিহত রাজ এলাকায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হিসেবে পরিচিত। মাঝে মাঝে সে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাত ও খাবার চেয়ে বেড়ায়। মঙ্গলবার রাতে ছেলেটি উত্তর সানারপাড়ে উকিলের ভাড়া বাড়ীতে ঢুকে পড়ে। এদিকে ওই বাড়ীতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে খুনিরা রাজকে চোর সন্দেহে আটক করে বেঁধে রাখে। পরে স্বীকারোক্তির জন্য খুনিরাসহ কয়েকজন মিলে বাঁশ, লাঠিসোটা ও প্লায়ার্স দিয়ে ছেলেটিকে বেধরক মারধর করে। বুধবার সকালে ছেলেটিকে উত্তর সানারপাড় ওষুধ ফেক্টরীর গলিতে ওই বাড়ীর বাইরে বিদ্যুতের খুঁটির সামনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রতিবন্ধী রাজ পুরান ঢাকার মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে। ছেলেটি সারুলিয়া গরুর হাট সংলগ্ন বাচ্চু খন্দকারের বাড়ীতে তার বড় ভাই আল আমিনের সঙ্গে ভাড়া থাকতো। এ ঘটনায় মৃতের ভাইসহ এলাকাবাসী আদালতের কাছে খুনিদের ফাঁসির দাবি জানান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে প্রতিবন্ধী রাজ দীর্ঘ দিন ধরে মৃগি রোগসহ মানসিক রোগে ভুগছিল। ওষুধ বন্ধ হলেই তার সমস্যা হতো। এমন একটি ছেলেকে চোর সন্দেহ করে পিটিয়ে হত্যা করা মোটেও উচিত হয়নি। সন্দেহ হলে  ছেলেটিকে পুলিশে সোপর্দ করা উচিত ছিল। তাই লাশ উদ্ধারের পরে এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত শেষে বুধবার ৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।